Self-portrait by Amrita Sher-Gil (1933)
অমৃতা শের-গিল : এটাই আমি
১৯১৩-১৯৪১
(সুনীল খিলনানীর একটি লেখা অবলম্বনে: কাজী মাহবুব হাসান এবং আসমা সুলতানা)
‘ঈশ্বর! এই যাত্রার চৌম্বকীয় আকর্ষণ থেকে অনুগ্রহ করে আমাকে রক্ষা করো’। (১) ( অমৃতা শের-গিল, ১৯৩৩)
ভ্যান গো থেকে ড্যাস স্নো, কোনো শিল্পীর অকালমৃত্যু তাকে ঘিরে বেশ লাভজনক একটি অলৌকিক আভা প্রদান করে, বিশেষ করে যদি মৃতদেহের ব্যক্তিত্ব ক্যানভাসগুলোর মতই অপ্রতিরোধ্য হয়ে থাকে। শিল্পী অমৃতা শের-গিল, বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় শিল্পকলার প্রথম তারকা – খুবই আরাধ্য পণ্যদ্রব্যে রুপান্তরিত হয়েছিলেন, যখন মাত্র আঠাশ বছর বয়সে প্রথাবিরোধী একটি জীবন কাটানোর পর রহস্যময় একটি পরিস্থিতিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন। শিল্পী এম এফ হুসেইন পরে যখন তার অবস্থানকে চিহ্নিত করেছিলেন ’ভারতীয় শিল্পকলার রাণী’ হিসাবে, তবে এই বিশেষণটি অবশ্যই সুনির্দিষ্টভাবে ধারমুক্ত ছিল না (২)। যখন বেঁচে ছিলেন, তার সমসাময়িক পুরুষ শিল্পীরা প্রায়শই শের-গিলের মর্যাদা হানি করেছিলেন শুধুমাত্র একজন ‘উচ্চাকাঙ্খী প্ররোচনাদায়ী শিল্পী’ হিসাবে তাকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে। সাংবাদিক ম্যালকম মাগেরিজ, যার সাথে শের-গিলের সংক্ষিপ্ত এবং তীব্র প্রেমের সম্পর্ক ছিল, মন্তব্য করেছিলেন, শের-গিল, ’বরং অতি আত্ম-সচেতন আত্মাম্ভরিতাপূর্ণভাবেই শৈল্পিক’ (৩)। যে বাক্যটি শুনলে একটি প্রশ্নের কথা মনে হয়, একজন কর্মরত শিল্পী এরচেয়ে অন্যকিছু কি হতে পারে? আমার মনে হয়, তার মোহনীয়তা, এবং তার জীবনের দূঃখজনক পরিণতি শুধুমাত্রই একটি পাদটীকা – যদিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ সেই পাদটিকাটি – সেই সত্যটির, তিনি আসলেই ছবি আঁকতে জানতেন, এবং আধুনিক ভারতের অমসৃন আর ক্রটিপূর্ণ সত্তার মহান একজন চিত্রকর ছিলেন।
Continue reading “এটাই আমি : অমৃতা শের-গিল” →