(ছবি: শিল্পী আসমা সুলতানা)
রিচার্ড ডকিন্স এর দি সেলফিশ জীন: অষ্টম অধ্যায়, প্রথম পর্ব
রিচার্ড ডকিন্স এর দি সেলফিশ জীন: অষ্টম অধ্যায়, দ্বিতীয় পর্ব
রিচার্ড ডকিন্স এর দি সেলফিশ জীন: অষ্টম অধ্যায়, তৃতীয় পর্ব
প্রজন্মের যুদ্ধ
কোন একটি একক প্রানীকে একক সারভাইভাল মেশিন হিসাবে রুপকটা যদি ব্যবহার করি, যেখানে সারভাইভাল মেশিন এমনভাবে আচরন করে যেন এর একটি উদ্দেশ্য আছে জীনদের সুরক্ষা করার জন্য, আমরা কোন পিতামাতা ও সন্তানদের মধ্যে সংঘর্ষটি নিয়ে কথা বলতে পারি, প্রজন্মদের মধ্যে কোন একটি দ্বন্দ। এই যুদ্ধটা সুক্ষ্ম ধরনের, এবং কোন ধরনের প্রচলিত নিয়ম দ্বারা এটি আবদ্ধ নয় কোন দিকেই। একটি শিশু কোন সুযোগই নষ্ট করবে না প্রতারিত করার জন্য। সে যতনা তারও বেশী সে নিজেকে ক্ষুধার্ত হিসাবে ভান করবে, হয়তো তার যা বয়স তার চেয়েও ছোট সাজার ভান করবে। এটি অনেক ছোট আর দুর্বল তার পিতামাতাকে শারীরিকভাবে চাপ প্রয়োগ করার জন্য, কিন্তু তার হাতে আছে এমন সব মনোজাগতিক অস্ত্র সে ব্যবহার করবে: মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা, নিজের স্বার্থে ব্যবহার করা, ঠিক সে পয়েন্ট অবধি, যখন সে তার আত্মীয়দের শাস্তি দিচ্ছে তাদের মধ্যে জীনগত সম্পর্ক যতটুকু অনুমতি দেয় তারচেয়ে বেশী। পিতামাতা, আবার অন্যদিকে, অবশ্যই সতর্ক হতে হবে প্রতারণা আর ছলনাগুলোর প্রতি এবং অবশ্য চেষ্টা করবে যেন বোকা না বনে যায় সহজে। এটি মনে হতে পারে একটি সহজ কাজ। যদি পিতামাতা জানে যে এর সন্তান এর মিথ্যা বলার সম্ভাবনা আছে সে আসলে কতটা ক্ষুধার্ত সে বিষয়ে, সে হয়তো এমন কোন কৌশল প্রয়োগ করতে পারে, যে একটি নির্দিষ্ট পরিমানই খাওয়াবে তার বেশী নয়, এমনকি যদিও শিশুটি চিৎকার করে যেতে থাকে। এর একটি সমস্যা হচ্ছে যে শিশুটি হয়তো মিথ্যা কিছু বলছে না, এবং যদি এটি মারা যায় না খেতে পাবার কারনে তাহলে বাবা মা এর কিছু মুল্যবান জীন হারাবে।
বুনো পাখিরা মারা যেতে পারে মাত্র কয়েকঘন্টা না খেয়ে থাকলে। এ জাহাভী (আমোৎস জাহাভী : ইসরাইলের বিবর্তন জীববিজ্ঞানী) প্রস্তাব করেছেন যে একটি সুনির্দিষ্ট নিষ্ঠুর শিশুদের ব্ল্যাকমেইল এর: শিশুরা এমনভাব চিৎকার করে যেমন এটি নীড়ের দিকে ইচ্ছা করে শিকারী প্রানীদের দৃষ্টি আকর্ষন করে। শিশুটি যেন বলছে, শিয়াল, শিয়াল, আসলে আমাকে শিকার করো। আর যে একটি মাত্র উপায়ে পিতামাতা তাকে চুপ করাতে পারে তাহলো একে খাওয়ানো। সুতরাং শিশু তার নায্যভাবে যতটুকু খাদ্য পাবার কথা ছিল তারচেয়ে বেশী পায়, তবে তার ঝুকি বাড়িয়ে সেই মুল্য পরিশোধ করতে হয়েছে। এই নিষ্ঠুর কৌশলের নীতি একই রকম সেই হাইজাকারের মত, যে কিনা কোন উড়েোজাহাজ উড়িয়ে দেবার জন্য হুমকি দিচ্ছে তার নিজেকে সহ, যদি না তাকে মুক্তিপন দেয়া না হয়। আমি সন্দিহান এটি আদৌ কখনো বিবর্তনের সুবিধা পেতে পারে কিনা, শুধু এই কারন না যে তারা খুবই নিষ্ঠুর বরং আমার সন্দেহ ব্ল্যাকমেইল করা কোন সন্তানের কি আসলেই কোন উপকার হয়। কারন তার হারাবার বহু কিছু আছে যদি আসলেই কোন শিকারী প্রানী আক্রমন করে। বিষয়টি স্পষ্ট যখন একটি মাত্র বাচ্চা থাকে, যে বিষয়টি নিয়ে জাহাভী নিজে গবেষনা করেছেন। তার মা তার জন্য ইতিমধ্যে যত কিছু বিনিয়োগ করুক না কেন, তার নিজের জীবনের মুল্য তারপরও তার বেশী দেয়া উচিৎ, তার মা যতটা মুল্য দেয় তারচেয়ে বেশী, কারন তার মা শুধু তার অর্ধেক পরিমান জীন বহন করে। উপরন্তু, এই কৌশলটি কোন সুফল দেবে না এমনকি যদি ব্ল্যাকমেইলার হয়ে থাকে সেই ক্লাচের সবচেয়ে ঝুকিপুর্ণ শিশু, তারা সবাই একই নীড়ের বাসিন্দা, যেহেতু ব্ল্যাক মেইলার এর ৫০ শতাংশ জীন এর বাজি আছে তার প্রতিটি হুমকির মুখে থাকা ভাই বোনদের উপর যেমন ১০০ শতাংশ বাজী তার নিজের ধারন করা জীন এর সাথে। আমি মনে করি তত্ত্বটি হয়তো ভাবা যেতে পারে কাজ করে যদি মুল শিকারী প্রানীর এমন কোন প্রবণতা থাকে যে পাখির নীড়ের সবচেয়ে বড় বাচ্চাটিকে প্রথম ধরে নিয়ে যায়। তাহলে হয়তো আকারে ছোট শিশুদের জন্য লাভজনক হবে কোন শিকারী প্রানীকে ডাকাকে হুমকি হিসাবে ব্যবহার করার জন্য, কারন এটি তাকে অতিরিক্ত বেশী কোন ঝুকির মধ্যে ফেলবে না। এটি তুলনা করা যেতে পারে, আপনার ভাই এর মাথায় পিস্তল ঠেকানোর মত, নিজেকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেবার হুমকি দেবার বদলে। আরো সম্ভাব্য এই ব্ল্যাকমেইল করার কৌশল হয়তো কোন শিশু কোকিলের স্বার্থ রক্ষা করে।
সুপরিচিত একটি বিষয় হচ্ছে স্ত্রী কোকিলরা একটা করে ডিম পাড়ে তাদের বেশ কয়েকটি পোষক পাখির নীড়ে এবং তারপর সম্পুর্ণ ভিন্ন প্রজাতির পোষক পাখি পিতামারা অজান্তেই শিশু কোকিলকে প্রতিপালন করার দ্বায়িত্ব দিয়ে যায়। সুতরাং কোন একটি শিশু কোকিল এর কোন জীনগত দায়ভার থাকে না তার পোষক ভাই বোনদের সাথে ( কিছু প্রজাতির কোকিল শিশু তো কোন পোষক ভাই বোনই রাখে না, আরো অশুভ সেই কারন আমরা পরে আলোচনা করছি। আপাতত আমি ধরে নিচ্ছি আমরা এমন কোন প্রজাতির কোকিলের কথা বলছি, যাদের পোষক পিতামাতা সন্তানও তাদের সন্তানের সাথে বড় হয়।); যদি কোন শিশু কোকিল যথেষ্ট জোরে চিৎকার করতে পারে শিকারী প্রানীকে আকৃষ্ট করার জন্য, তার অনেক কিছু হারাবার সম্ভাবনা আছে- তার জীবনটাও যেতে পারে- কিন্তু পোষক মার হারাবার আছে আরো বেশী তার তুলনায়, হয়তো তার চারটি বাচ্চাই মারা যেতে পারে। সুতরাং তার জন্য বরং উপকারী হবে এই চিৎকার করা পাখিটাকে তার নায্য ভাগের চেয়ে বেশী পরিমানে খাওয়ালে এবং কোকিল এর জন্য এর সুবিধা হয়তো এর ঝুকির চেয়েও বড়। এটি হচ্ছে সেই উপলক্ষ্যগুলোর অন্যতম যখন সংশ্লিষ্ট জীনের ভাষা পুনঅনুদিত করাটাই বুদ্ধিমানে কাজ হবে, আমাদের অন্তত আশ্বস্ত করার জন্য আমরা আমাদের আত্মগত ধারনার রুপক ব্যবহার করতে গিয়ে মুল সত্যটির খেই হারিয়ে ফেলিনি। আসলেই কি বোঝায় কোন হাইপোথিসিস দাড় করানো যে শিশু কোকিলরা তাদের পোষক পিতামাতাকে ব্ল্যাকমেইল করে চিৎকার করে শিকারী পাখি, শিখারী পাখি আসো আমাকে আর আমার সব ছোট ভাইবোনদের আক্রমন কর? জীনগতভাষায় এর অর্থ হচ্ছে একরম: উচ্চস্বরে চিৎকার করার কোকিলের জীনটি কোকিলদের জীন পুলে সংখ্যা বাড়ে কারন তাদরে উচ্চ চিৎকার সেই সম্ভাবনা বাড়ায় যে পোষক বাবা মা চিৎকার করা শিশু কোকিলকে আগে খাওয়া দেবে। এবং পোষক পিতামাতা এইভাবে চিৎকারের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায় যারা তাদের সেই জীনটি পোষক প্রজাতির জীনপুলেও সংখ্যায় বাড়ে। আর এই জিনটি বিস্তারের কারন হচ্ছে যে একক ভাবে প্রতিটি পোষক প্রজাতির পিতামাতা যারা কোকিলদের বাড়তি খাদ্য দেয়নি তারা সংখ্যায় অনেক কম তাদের নিজেদের সন্তান প্রতিপালন করতে পেরেছে তাদের প্রতিদ্বন্দী প্রজাতিদের তুলনায় যারা কোকিলের সন্তানতের বাড়তি খাওয়া দিয়েছে। এর কারন শিকারী প্রানীরা তাদের নীড়ের প্রতি আকর্ষিত হয় যেখানে কোকিল শিশু চিৎকারে করে। যদিও কোকিলের জীন যা চিৎকার না করা জন্য তার সম্ভাবনা থাকে শিকারী প্রানীর পেটে, চিৎকারের জন্য জীনের তুলনায়, চিৎকার না করা কোকিল শিশু আরো আরো বড় শাস্তি পায় বাড়তি খাদ্য না পাওয়ার মাধ্যমে। সুতরাং চিৎকার করা জীন কোকিলের জীনপুলে বিস্তার লাভ করে।
একই ধারা জীনগত যৌক্তিকতা, যা আরো বেশী আত্মগত ধারনার থেকে সৃষ্টি, আমাদের দেখায় যে যদি এমন কোন ব্ল্যাকমেইলিং করা জীন কল্পনাকরা যেতে পারে কোকিলের জীন পুলে বিস্তার লাভ করে ঠিকই, তবে এটি সাধারন প্রজাতির মধ্যে বিস্তার লাভ করার সম্ভাবনা খুব কম, অন্তত পক্ষে সেই বিশেষ কারনে না যা কিনা শিকারী প্রানীতে আকর্ষন করে। অবশ্যই, কোন সাধারন প্রজাতিদের মধ্যে আরো অন্য কারন থাকতে পারে এই চিৎকার করার জীনটি বিস্তার লাভ করার জন্য, যেমনটি আমরা দেখেছিলাম এবং এর একটি সংশ্লিষ্ট ঘটনাক্রমে প্রভাব থাকবে মাঝে মাঝে শিকারী প্রানীদের দৃষ্টি আকর্ষন করায়। কিন্তু এখানে শিকারী প্রানী আক্রমনের স্বীকার হবার নির্বাচনী চাপ হবে, যদি কিছু হয়ে থাকে, সেই কান্নাটি তীব্রতা কম করার দিকে। কোকিলদের এই হাইপোথেটিকাল কেসে, শিকারী প্রানীদের নেট প্রভাব, যদিও ধাধার মত শোনাবে প্রথমে, সেটি গলো এই চিৎকারটির তীব্রতা বাড়ানোর জন্য।
কোন প্রমান নেই, কোন দিকে, আসলেই কি কোকিলরা বা অন্যান্য পাখিরা যারা একই ধরনের ব্রুড প্যরাসাইট বা প্রজনন পরজীবি আচরণ প্রদর্শন করে আসলে এমন কোন ব্ল্যাকমেইল এর কৌশল অবলম্বন করে। কিন্তু তারা অবশ্যই তাদের নিষ্ঠুরতার কোন ঘাটতি প্রদর্শন করে না। যেমন, হানিগাইড পাখিদের মধ্যে, তাদরে সদস্যরা ডিম পাড়ে অন্য প্রজাতির পাখির নীড়ে, কোকিলদের মতই। শিশু হানিগাইড পাখিতে ধারালো আর হুকের মত বাকা ঠোট থাকে, যে মুহর্তে সে ডিম ফুটে বের হয়ে আসে, যদিও তখন সে চোখে কিছু দেখে না, গায়ে কোন পালকও নেই, অন্যথায় অসহায়, সে তার ঠোট দিয়ে তাদের পোষক বাবা মার সন্তানদের মেরে ফেলে: মৃত ভাইবোনরা খাদ্য নিয়ে কোন প্রতিদ্বন্দীতা করতে পারেনা। পরিচিত বৃটিশ কোকিলও সেই একই কাজটি করে একটু অন্যভাবে; যেহেতু তাদের তা দিয়ে ফুটে বের হয়ে আসার সময় কিছুটা দ্রুত, শিশু কোকিল তাই আগেই ডিম ফুটে বের হয়ে আসতে পারে তার পোষক পিতামাতার সন্তানদের তুলনায়। যেই মুহুর্তে এটি ডিম ফুটে বের হয়ে আসে, অন্ধের মত, যান্ত্রিকেভাবে, কিন্তু মারাত্মক বিধ্বংশী দক্ষতায়, এটি অন্য ডিমগুলোকে নীড় থেকে বের করে ফেলে দেয়। কোন একটি ডিমের নিচে এটি ঢুকে ডিমটিকে সে তার পিঠের গর্তের মত জায়গায় সাজিয়ে নেয়, তার ডানার উঠতি অংশ দিয়ে ডিমটির ভারসাম্য রক্ষা করে এটি মাটিতে ফেলে দেয় নীড়ের বাইরে। একইভাবে সে প্রতিটি ডিমের সাথে একই কাজ করে, যতক্ষন না সে সেই নীড়টি নিজের দখলে নেয়, এভাবে তার পালক পিতামাত্রা পুর্ণ মনোযোগ সে দখল করে নেয়।
আরো একটি সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য যা আমি জানতে পেরেছিলাম গত বছর, সেটি রিপোর্ট করেছিলেন এফ আলভারেজ, আরিয়াস দে রেইনা ও এইচ সেগুরা। তারা সম্ভাব্য পোষক পিতামাতার ক্ষমতা যাচাই করছিলেন – কোকিলদের সম্ভাব্য শিকার – তারা আসলে কতটুকু সক্ষম এরকম কোন অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করার জন্য – কোকিলে বাচ্চা কিংবা ডিম কি তারা শনাক্ত করতে পারে? তাদের গবেষনাকালীন সময়ে তাদের সুযোগ হয়েছিল ম্যাগপাইদের নীড়ে কোকিলের ডিম আর বাচ্চাদের অনুপ্রবেশ ঘটাতে এবং এর সাথে তুলনা করার জন্য অন্য কোন প্রজাতির শিশু আর ডিম যেমন সোয়ালো। একবার যখন তারা একটি শিশু সোয়লো কে ম্যাগপাই এর নীড়ে রেখেছিল, তারা দেখেছিল যে একটি ম্যাগপাই পাখির ডিম নীড়ের পাশে মাটিতে পড়ে আছে, তবে তা ভেঙ্গে যায়নি তখনও, সেকারনে তারা সেটি তুলে আবার পাখির নীড়ে তুলে রাখেন এবং লক্ষ্য রাখেন। তারা যা দেখেছিলেন তা আসলেই বিস্ময়কর। বাচ্চা সোয়ালো ঠিক সেই শিশু কোকিলের মত আচরণ করছে, তারাই একটি ডিম বাইরে ফেলে দিয়েছিল। আবারো সেটাই করে। সেই শিশু সোয়ালে ঠিক কোকিলের মত তাদের পিঠের উপর ম্যাগপাইদের ডিম ভারসাম্য করে তাদরে ডানার ছোট অংশগুলো দিয়ে এবং পেছন বরাবর হেটে নীড়ের প্রান্তে এসে ডিমটি ফেলে দিচ্ছে।
হয়তো বুদ্ধিমত্তার সাথে আলভারেজ ও তার সহযোগীরা কোন চেষ্টা করেনি তাদের এই বিস্ময়কর পর্যবেক্ষনটি ব্যাখ্যা করার জন্য। কিভাবে এই আচরনটি বিবর্তিত হতে পারে সোয়ালেদের জীন পুল? নিশ্চয়ই এই আচরণটি সোয়ালোদের স্বাভাবিক কোন আচরণের সাথে সংশ্লিষ্ট। শিশু সোয়ালো ম্যাগপাইদের নীড়ে নিশ্চয়ই অভ্যস্ত নয়। সাধারনত তাদের নিজেদের নীড় ছাড়া তাদের অন্য কোথাও পাওয়াও যায়না। এই আচরণটি কি কোন একটি বিবর্তিত কোকিল বিরোধী কোন অভিযোজন হতে পারে? প্রাকৃতিক নির্বাচন কি সোয়ালো জীন পুলে কোন প্রতি আক্রমনের জীনকে সাহায্য করছে বিশেষভাবে, কোকিলদের পদ্ধতি ব্যবহার করে কোকিলদের বিরুদ্ধে প্রতিআক্রমন? আর এটাও বাস্তব সত্য যে কোকিলদের নীড় সাধারণত পরজীবির মত ব্যবহার করেনা কোকিলরা। হয়তো এটাই সেই কারন। এই তত্ত্ব মোতাবেক, পরীক্ষায় ম্যাগপাই ডিম ঘটনাচক্রে এই ধরনের আচরনের মুখোমুখি হচ্ছে, হয়ত কারন, কোকিল এর ডিম এর মত, তারা সোয়ালো ডিম এর চেয়ে বড়। কিন্তু যদি শিশু সোয়ালো একটি বড় ডিম আর সাধারন সোয়ালোর ডিম এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে, নিশ্চয়ই মারও সেটা করতে পারা উচিৎ ; সেই ক্ষেত্রে তাহলে কাজটি মা নিজেই করছে না, সে কেন কোকিলের ডিম তার নীড় থেকে বাইরে ফেলে দিচ্ছে না, কারন সেটা করা তার জন্য অনেক বেশী সহজতর হবে তার শিশুর তুলনায়? এই একই অভিযোগ প্রযোজ্য সেই তত্ত্বটির ক্ষেত্রে যে কোন শিশু সোয়ালোর একটি আচরন আছে যে নীড়ের মধ্যে কোন ময়লা বা পচা ডিম সে বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়। আবারো, এই কাজটি তার বাবামা আরো ভালোভাবে করতে পারতো। বাস্তব সত্যটি হচ্ছে এই কঠিন আর দক্ষ ডিম-ছুড়ে ফেলে দেবার অপারেনটি দেখা গেছে করে কোন দুর্বল অসহায় সোয়ালো শিশু, যেখানে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক পিতামাতা কাজটি অনায়াসে করতে পারতো – এই পরিস্থিতি আমাকে বাধ্য করছে সেই উপসংহারে পৌছাতে, পিতামাতার দৃষ্টি ভঙ্গী দিয়ে, শিশুটি কোন ভালো কাজে নেই।
আমার কাছে মনে হয় এটা ঠিক সম্ভাব্য হতে পারে যে সত্যিকারের ব্যাখ্যার সাথে কোকিলদের আদৌ কোন যোগসুত্র নেই। রক্ত হয়তো শীতল হতে পারে ভেবে, কিন্তু এটাই কি শিশু সোয়ালোরা একে অপরের সাথে করতে পারে? যেহেতু যে প্রথমে জন্ম নেয়, তাকে প্রতিদ্বন্দীতা করতে হয় এখনও ডিম থেকে না বের হওয়া ভাই বোনদের সাথে, তারজন্য এটি সুবিধাজনক হতে পারে অন্য ডিমগুলো নীড়ের বাইরে ফেলে দিয়ে জীবন শুরু করা।
((((((((((((((((((((( চলবে))))))))))))))))))))))))))