রিচার্ড ডকিন্স এর দি গ্রেটেষ্ট শো অন আর্থ : পঞ্চম অধ্যায় (শেষ পর্ব)
( অনুবাদ প্রচেষ্টা: কাজী মাহবুব হাসান)
The Greatest Show on Earth: The evidence for evolution by Richard Dawkins
প্রথম অধ্যায়
দ্বিতীয় অধ্যায়
তৃতীয় অধ্যায় ( প্রথম পর্ব) | তৃতীয় অধ্যায় ( দ্বিতীয় পর্ব) | তৃতীয় অধ্যায় ( শেষ পর্ব)
চতুর্থ অধ্যায় (প্রথম পর্ব) | চতুর্থ অধ্যায় (দ্বিতীয় পর্ব)
চতুর্থ অধ্যায় (তৃতীয় পর্ব) | চতুর্থ অধ্যায় ( শেষ পর্ব)
পঞ্চম অধ্যায়: প্রথম পর্ব | পঞ্চম অধ্যায়: দ্বিতীয় পর্ব |
পঞ্চম অধ্যায়: তৃতীয় পর্ব
লিঙ্গুলা
আমার প্রিয় জীবন্ত জীবাশ্ম হচ্ছে ব্রাকিপড লিঙ্গুলা। একটি ব্রাকিপড কি সেটা জানার আবশ্যকিতা নেই এই মুহুর্তে আপনাদের। তবে তারা অবশ্যই খাবারের মেন্যুর মুল আইটেম হত, যদি গ্রেট পারমিয়ান বিলুপ্তি ,প্রায় ১ বিলিয়ন বছর আগে যা ঘটেছিল, (সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিলুপ্তি এই পৃথিবীরি ইতিহাসে) সেই সময় সিফুড রেষ্টুরেন্টের ব্যাপক প্রচলন থাকতো। হালকা ভাবে দেখলে যে কেউই সংশয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়বে এটিকে বাইভালভ মোলাস্ক হিসাবে কল্পনা করে – মাসেল বা তাদের মত কিছু ভাববেন। কিন্তু তারা আসলে খুবই আলাদা। দুটো শেল বা খোলস আছে উপর আর নীচ, অপরদিকে মাসেল এর খোলস হচ্ছে ডানে আর বামে। বিবর্তনীয় ইতিহাসে বাইভালভ আর ব্রাকিপড রা হচ্ছে যেমন স্টিফেন জে গুল্ড স্মরণীয়ভাবে বলেছিলেন, Ships that pass in the night অর্থাৎ দুজন যাদের কিছুক্ষনের জন্য দেখা হয়েছিল, তারপর যে যার পথে চলে গেছে; কিছু ব্রাকিপড ‘the Great Dying’ ( অবারো গুল্ড এর শব্দ) বা মহাবিলুপ্তি র পরও বেচে ছিল, এবং আধুনিক লিঙ্গুলা ( উপরে ছবি ) জীবাশ্ম Lingulella, সাথে এত বেশী মিল, যে জীবাশ্মটিকে একই জেনেরিক নাম দেয়া হয়েছিল Lingula; এই বিশেষ নমুনাটি Lingulella ওরডোভিসিয়ান পর্বে, প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন বছর প্রাচীন। কিন্তু এমন জীবাশ্মও আছে যাদের মুলত নাম দেয়া হয়েছিল Lingula কিন্তু তারা এখন পরিচিত Lingulella নামে, প্রায় অর্ধ বিলিয়ন বছর, ক্যামব্রিয়ান পর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। আমার স্বীকার করে নেয়া উচিৎ জীবাশ্ম কোন শেল খুব বেশী কোন তথ্য দেয়না। কোন কোন প্রানী বিজ্ঞানীরা সম্পুর্ণভাবে অপরিবর্তত জীবন্ত ফসিল হিসাবে এর দাবী নিয়ে সংশয় পোষন করেন।
ছবি: Well-preserved, 500 million year old specimens found in China
বিবর্তন সংক্রান্ত বিতর্কে বহু সমস্যা সৃষ্টি হতে দেখি আমরা শুধুমাত্র প্রাণীরা অবিবেচকের মত ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় বিবর্তিত হবার কারনে, এমন কি বলা যায় বিবর্তিত না হবার জন্য যথেষ্ট অবিবেচনার পরিচয় দেয় যখন। যদি কোন প্রাকৃতিক নিয়ম থাকতো যা নির্দেশ করতো বিবর্তনীয় পরিবর্তনের পরিমান অবশ্যই সব সময় অতিবাহিত সময়ের সমানুপাতিক হবে এবং পারস্পরিক সদৃশ্যতার মাত্রা বংশগত সম্পর্কের বিষয়টিকে সততার সাথে প্রতিনিধিত্ব করবে। বাস্তব পৃথিবীতে, যদিও, আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়, বিবর্তনীয় পরিবর্তনে দ্রুতগতিময় প্রাণী, যেমন পাখি রা, যারা তাদের সরীসৃপ অতীতকে ফেলে এসেছে মেসোজোয়িক ধুলায় – আমাদের বুঝতে সাহায্য করে আমাদের দৃষ্টিতে কেন তাদের অবস্থানটি অনন্য এবং ঘটনাচক্রে তাদের প্রতিবেশীরা, বিবর্তন বৃক্ষে যাদের অবস্থান তাদের নিকটবর্তী তারাই ধ্বংশ হয়েছে মহাজাগতিক ধ্বংসলীলায়। আবার চুড়ান্তভাবে অন্যদিকে আমরা পাই, জীবন্ত জীবাশ্ম, যেমন লিঙ্গুলা যারা চরম কিছু ক্ষেত্রে এতটাই সামান্য বদলেছে যে তারা হয়তো এখনও তাদের দুর অতীতের পুর্বসুরীদের সাথে প্রজনন করতে পারবে, যদি কোন ঘটকালী করার টাইম মেশিন তাদের মধ্যে সংযোগ করে দিতে পারে।
__________________________পঞ্চম অধ্যায় সমাপ্ত
jene valo laglo notun ak tottho
LikeLike
অনেক ধন্যবাদ;
LikeLike