ছবি: চার্লস ডারউইন এর ১৮৩৭ সালের নোট বুকে আকা প্রথম জীবন বৃক্ষর রেখাচিত্র, যা প্রতিটি জীব সম্পর্কযুক্ত এবং ট্রান্সমিউটেশনের এই বিষয়টি নিয়ে তার ভাবনাকে ইঙ্গিত করেছিল;
লেখাটির মুল সুত্র: Carl Zimmer এর Evolution, the triumph of an idea র প্রথম দুটি অধ্যায়; এছাড়াও কিছু বাড়তি তথ্য এসেছে বিভিন্ন সুত্র থেকে:
চার্লস ডারউইন এবং একটি ধারনার বিজয়…. : প্রথম পর্ব (এক)
চার্লস ডারউইন এবং একটি ধারনার বিজয়…. : প্রথম পর্ব (দুই)
চার্লস ডারউইন এবং একটি ধারনার বিজয়…. : প্রথম পর্ব (তিন)
চার্লস ডারউইন এবং একটি ধারনার বিজয়…. : দ্বিতীয় পর্ব(এক)
দ্বিতীয় পর্ব : যেন কোন হত্যার স্বীকারোক্তি করার মত
দুই
সংশয় এবং বৈধর্ম্য বা হেরেসি
বীগল ফিরে আসার পার চার মাস পর, ডারউইন তার সংগ্রহ করে আনা জীবাশ্ম ও প্রানীদের নমুনাগুলোর বিষয়ে নানা বিশেষজ্ঞদের মতামত পেতে শুরু করেন; শুরুতেই তাদের বক্তব্যগুলো মুলত তাকে সংশয়াচ্ছন্ন করেছিল; ওয়েন তার জীবাশ্ম স্তন্যপায়ীর নমুনাগুলো পরীক্ষা করে প্রস্তাব করেন এগুলো দক্ষিন আমেরিকায় বসবাসকারী কিছু প্রানীরই দানবীয় সংস্করণ; ইদুর জাতীয় প্রানীর আকার প্রায় জলহস্তির মত আর পিপাড়াখেকো অ্যান্ড ইটার আকারে প্রায় ঘোড়ার সমতুল্য; কেন, ডারউইন ভাবতে শুরু করেন, একটি একই এলাকায় বসবাস কারী জীবিত প্রানীদের সাথে এইসব বিলুপ্ত প্রানীদের মধ্যে কেন এই যোগসুত্র বা একটি সম্পর্ক; তাহলে কি হতে পারে সব জীবিত প্রানীরা বিলুপ্ত প্রানীদের থেকে আকারে পরিবর্তিত হয়ে উদ্ভব হয়েছে?
ডারউইন তার গালাপাগোস থেকে আনা পাখিগুলো দিয়েছিলেন ফ্লেমস গ্যুল্ডকে, যিনি ছিলেন বৃটেনের একজন প্রথম সারির পক্ষীবিশারদ, ডারউইন যখন তাদের সংগ্রহ করেছিলেন, তখন তাদের বিষয়ে তিনি আলাদা করে কিছু ভাবেননি; কিন্তু যখন গ্যুল্ডকে জুওলজিক্যাল সোসাইটির একটি সভায় কথা বলতে শোনেন তিনি, সঠিকভাবে নোট না নেয়ার বিষয়টি নিয়ে অনুশোচনায় ভুগেছিলেন তিনি; তাদের ঠোট দেখে ডারউইন এই পাখিদের শনাক্ত করেছিলেন ফিন্চ, রেন আর ব্ল্যাক বার্ড হিসাবে, কিন্তু গ্যুল্ড তার পরীক্ষার পর ঘোষনা দেন এগুলো সবই আসলে ফিন্চ; শুধু তাদের ঠোটগুলো কারো রেন দের মত , কারো ব্ল্যাক বার্ড দের মত দেখতে, যা তাদের কোন নির্দিষ্ট ধরনের খাওয়া খেতে সহায়তা করে;
এবং পরে ডারউইন গ্যুল্ড এর সাথে দেখা করতে যান, গ্যুল্ড তাকে দেখান যে তিনি আরো বড় কিছু ভুল করেছিলেন, ডারউইন ঠিক মতো উল্লেখ করেননি কোন দ্বীপ থেকে তাদের বেশীর ভাগ সংগ্রহ করেছিলেন, কারন তখন তার কাছে এটা গুরুত্বপুর্ণ মনে হয়নি; ঘটনাক্রমে তিনি শুধু নোট করেছিলেন, তিনটি মকিং বার্ড এসেছে তিনটি ভিন্ন দ্বীপ থেকে; এবং গ্যুল্ড তাকে দেখালেন, যে এই মকিংবার্ডগুলো আসলে তিনটি নতুন এবং ভিন্ন প্রজাতির সদস্য; ডারউইন অনুধাবন করতে পারলেন, নিশ্চয়ই কোন একটি ব্যাপার আছে; তার ভাবনায় তখন প্রশ্ন এত কাছাকাছি একটি জায়গায় কেন তিনটি ভিন্ন প্রজাতির মকিং বার্ড থাকবে?
ছবি: ফিন্চ (চার্লস ডারউইনের 1839 Journal of Researches Into the Natural History and Geology of the Countries Visited During the Voyage of HMS Beagle Round the World, Under the Command of Captn. FitzRoy, R.N. থেকে) (সুত্র: নোভা)
Continue reading “চার্লস ডারউইন এবং একটি ধারনার বিজয়…. : দ্বিতীয় পর্ব (দুই)”